ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়া প্রশ্নে নিজ অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান। স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশদুটিকে ‘সন্ত্রাসী কুর্দিদের’ আশ্রয়দাতা আখ্যা দিয়ে তাদের ন্যাটোজোটের সদস্য করার বিষয়ে বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ন্যাটো জোটে নতুন কাউকে সদস্য করতে হলে এর ৩০ সদস্যের সবার সম্মতি প্রয়োজন। তুরস্ক পরোক্ষভাবে এর বিরোধিতা জানানোয় সোমবার সুইডেন দেশটিকে বোঝাতে প্রতিনিধি পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিল।
সেদিনই এর কয়েক ঘণ্টা পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, ফিনিশ ও সুইডিশদের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানাচ্ছে তার দেশ। এরদোয়ান বলেন, তুরস্ককে রাজি করানোর লক্ষ্যে স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশ দুটির কোনো প্রতিনিধি পাঠানোর প্রয়োজন নেই।
তুরস্ক ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দেশটির সম্মতি ছাড়া সুইডেন ও ফিনল্যান্ড সামরিক জোটটিতে যোগ দিতে পারবে না। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মতে, দেশ দুটি কুর্দি উগ্রবাদীদের ঠাঁই দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান জানান, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে আপত্তি জানাচ্ছে তুরস্ক। এ সময় তিনি সুইডেনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের লালনক্ষেত্র’ হিসেবে অভিহিত করেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ দেশগুলোর কোনোটিরই সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে পরিষ্কার ও মুক্ত কোনো মনোভাব নেই। আমরা কীভাবে তাদের বিশ্বাস করতে পারি?’
সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে তুরস্কের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) অনেক সদস্য আশ্রয় পেয়েছে। এ নিয়েই তুরস্কের মূল আপত্তি। পিকেকে ও ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারীদের সন্ত্রাসী হিসেবেই বিবেচনা করে তুরস্ক। দেশটির অভিযোগ, গুলেন ২০১৬ সালে তুরস্কে অভ্যুত্থান ঘটনোর চেষ্টা করেছিলেন।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষ অবস্থান ত্যাগ করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন ন্যাটো শিবিরে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিবেশি রাশিয়া এ বিষয়ে আগে থেকেই তাদের সতর্ক করে আসছিল। অন্যদিকে এরদোয়ান সম্প্রতি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছিলেন।