আগুন জ্বালিয়ে তন্ত্রমন্ত্রের মাধ্যমে রোগীর ওপর থেকে জিন–ভূত তাড়ানোর নিশ্চয়তা দেন তিনি। বন্ধ্যত্ব দূর করে সন্তান লাভের দায়িত্বও নেন। কিন্তু র্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তিনি এর কোনো কিছুরই প্রমাণ দিতে পারেননি। তাই দণ্ড হিসেবে তাঁকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. বসির (৩৪) নলডাঙ্গা উপজেলার সমসকলসি গ্রামের বাসিন্দা।
নাটোর র্যাব ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে নাটোর র্যাব ক্যাম্পে তান্ত্রিক কবিরাজ মো. বসিরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আসে। এরপর ওই কবিরাজের কাছে গোয়েন্দা পাঠায় র্যাব। মো. বসির ছদ্মবেশে থাকা এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে নিশ্চয়তা দেন, তিনি আগুন জ্বালিয়ে তন্ত্রমন্ত্রের মাধ্যমে রোগীর ওপর থেকে জিন–ভূত তাড়াতে পারবেন। পাশাপাশি বন্ধ্যত্ব দূর করে সন্তান লাভের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। এসব কাজের বিনিময়ে তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেন।
গতকাল রাত আটটার দিকে র্যাব নাটোর ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন, উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদী ও নাটোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কর্মকর্তা সৌরভ হোসেন কবিরাজ মো. বসিরের বনবেলঘরিয়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় তাঁকে আটক করে জিন, ভূত তাড়ানো ও বন্ধ্যত্ব দূর করার প্রমাণ চাওয়া হয়। অপারগ তান্ত্রিক এ কর্মকর্তাদের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতারণার দায়ে মো. বসিরকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন। আজ বুধবার সকালে তাঁকে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়।