ইতালিতে খরায় সুখে নেই প্রবাসী কৃষিজীবীরা

Date:

Share post:

ইউরোপের শিল্প উন্নত দেশ ইতালি। শিল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেক উন্নত প্রযুক্তি ও ফলনশীল কৃষি সম্প্রসারণ নীতিমালার জন্য ইতালির কৃষিপণ্য এখন বিশ্ববিখ্যাত।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটিতে বর্তমানে চলমান চরম খরা ও লাগাতার উষ্ণ তাপমাত্রা কৃষি উৎপাদন ভবিষ্যৎ ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।

প্রাচীন সভ্যতার দেশ ইতালি। ইউরোপের শিল্প উন্নত দেশটি কৃষি উৎপাদনেও স্বনির্ভর। দেশটির কৃষিপণ্য নিজেদের চাহিদা পূরণ করে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশ খাদ্যের জোগান দেয়। দেশটিতে বিশ্ববিখ্যাত বেশকিছু কৃষি ফার্ম ইতোমধ্যে ইউনেসকো ঐতিহ্যে স্থান করে নিয়েছে। পাঁচ শতাধিক কৃষি খামারের মালিক প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এসব খামারে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি কাজ করছেন।

সম্প্রতি ইতালির কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক তথ্যমতে, জলবায়ু পরিবর্তন, খরা ও অনাবৃষ্টি এবং তীব্র দাপদাহে দেশটির কৃষি উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় ইতালীয়দের পাশাপাশি চিন্তিত কৃষিসংশ্লিষ্ট প্রবাসীরা।

এক প্রবাসী কৃষিজীবী বলেন, আমরা খরার কারণে ফসল করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে, ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় ৪০ এর ওপরে থাকে। এর ভেতর আমরা কোনো কাজ করতে পারি না।

২০২২ সালে ইতালির উত্তরাঞ্চলের পো নদীর অববাহিকায় পাঁচটি প্রদেশ ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে চরম অনাবৃষ্টি ও খরার কবলে পড়েছে। দেশটির বিভিন্ন নদীর পানি শুকিয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। শীতকালে কম বৃষ্টিপাত উত্তর আল্পস পর্বতমালায় কম বরফ সৃষ্টি এবং গ্রীষ্মে প্রচণ্ড তাপদাহে দ্রুত বরফ গলে নদীর নাব্য সংকট সৃষ্টি করে। এতে গবেষকরা ধারণা করছেন, ইতালির কৃষি উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

মিলানসহ বিভিন্ন শহরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, যা ওই এলাকায় শতাব্দীর সবচেয়ে কঠিনতম জলবায়ু বিপর্যয় বলা হচ্ছে। তবে দক্ষিণ ইতালির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে। খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ৩৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইতালি সরকার।