একের পর এক নেতিবাচক রেকর্ড গড়ছে রাশিয়া। যদিও রুশপন্থিরা বলছেন, এসব পশ্চিমা প্রপাগান্ডা। তবে এবার ১০০ বছরের ইতিহাস ভেঙে বৈদেশিক ঋণখেলাপির তালিকায় নাম লেখাল রাশিয়া।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯১৮ সালের পর রাশিয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে এবারের রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বদলে দিয়েছে সব ধরনের হিসাব-নিকাশ। এমন অনেক কিছুই হচ্ছে, যা আগে হয়নি।
চলতি বছরের মে মাসের ২৭ তারিখে সুদসহ রাশিয়ার ১০০ মিলিয়ন ডলারের কিস্তি দেয়ার কথা ছিল। তবে রাশিয়া সে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। এতে রাশিয়ার শরীরে লেগে গেছে ঋণখেলাপির তকমা।
তবে এ ব্যাপারে রাশিয়া বলছে, রাশিয়ার কাছে অর্থ রয়েছে এবং ঋণ পরিশোধের জন্য দেশটি অর্থ দিতে ইচ্ছুক। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের অর্থ প্রদান করা অসম্ভব করে তুলেছে। রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার। রুশ অর্থমন্ত্রী এন্তোন সিলুয়ানভ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর কোনো বৈদেশিক ঋণ নেবে না রাশিয়া।
এদিকে রাশিয়া জ্বালানি তেল ও গ্যাস বিক্রি করে প্রতিদিন ১ বিলিয়ন ডলার করে আয় করছে। এতে অর্থমন্ত্রীর এ কথাকে কোনোভাবেই অত্যুক্তি বলা যাবে না।
এর আগে সবশেষ ১৯১৮ সালে রুশ বিপ্লবের সময় রাশিয়া ঋণখেলাপি হয়েছিল। তবে সে সময়কার ঘটনা ছিল ভিন্ন। রুশ নেতা ভ্লাদিমির লেলিন জানিয়েছিলেন, জারদের নেয়া ঋণ পরিশোধে নতুন সরকার বাধ্য নয়।
মূলত ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক ব্যাংকিং সিস্টেম সুইফট থেকে ছিটকে পড়ে রাশিয়া। এতে সে সময় থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, চলতি বছর ঋণখেলাপির মুখোমুখি হবে রাশিয়া, শেষমেশ এমনটাই ঘটল।