বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। তাই ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংস পন্থা অবলম্বন করছে।
তিনি বলেন, গণবিক্ষোভের বিস্ফোরণকে ঠেকানোর জন্য দলীয় চেতনায় প্রশাসনকে সাজানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাজশাহীর বাগমারায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে ‘হামলা’র নিন্দা জানিয়ে শুক্রবার (১৫ জুলাই) দেয়া এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার আয়োজন করে। এতে পুলিশ যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায়, তা নজিরবিহীন।
মহাসচিব বলেন, পুলিশ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তারা বিএনপির উদ্যোগে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকেও বানচাল করতে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় সরকারের নৃশংস ফ্যাসিবাদের উগ্র রূপ প্রকাশ পেয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য, অর্থপাচার আর মহাদুর্নীতিতে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে, এসব আড়াল করার জন্যই দেশব্যাপী সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরি করেছে। আর এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরছে। নিহত ও আহত হচ্ছেন অসংখ্য নেতাকর্মী।
সরকারের পায়ের নিচের মাটি কাঁপতে শুরু করেছে- দাবি করে ফখরুল আরও বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে এ সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংস পন্থা অবলম্বন করেছে। তবে সরকারের পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জে পুলিশি হামলা ও ময়মনসিংহের পাগলা থানায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণের তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কার জানিয়ে জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তির জোর দাবি জানান।