২০২০ সালে নিজের বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। তারপর থেকেই খুঁজে যাওয়া হচ্ছে মৃত্যু রহস্য। নানা সময় নানান তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে মিডিয়াপাড়ায়। এখনও এ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। প্রথমে অভিনেতার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, যা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিল ভক্তরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতার দিদি প্রিয়াঙ্কা জানালেন, তিনি প্রথম যখন ভাইয়ের মরদেহ দেখেন তখনই নিশ্চিত ছিলেন এটা আত্মহত্যা হতেই পারে না।
২০২০ সালের ১৪ জুন মারা যান সুশান্ত। সিবিআই নানা দিক থেকে এই মামলা খতিয়ে দেখছে। আলাদা তদন্ত করছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোও (এনসিবি)।
ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং জানান, তিনি নিজে একজন ক্রিমিনাল লইয়ার। তিনি নিজে অনেক আত্মহত্যা বা অন্যান্য ভয়ানক মৃত্যু দেখেছেন। এসব ক্ষেত্রে বড় হয়ে যা, জিভ বেরিয়ে আসে। তার ভাইয়ের মধ্যে সেরকম কোনও লক্ষণই ছিল না।
এছাড়া কিছুদিন পর তিনি ওই ঘরে প্রবেশ করেন আর সেখানটা দেখেই বুঝতে পেরেছেন সুশান্তের ঘটনাটা আত্মহত্যা হতেই পারে না। যেখানে গলায় দড়ি দিয়েছিল বলে বলা হচ্ছে, সেখানে ফ্যান আর খাটের মধ্যে ব্যবধান সুশান্তের উচ্চতারও নয়।
সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা আরো জানান, ২০১৯ সাল থেকে সুশান্তের জীবন বদলে যেতে থাকে, যবে থেকে রিয়া ওর জীবনে এসেছিল। প্রথমবারের জন্য ভাইয়ের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। তার ৬ দিনের মধ্যে এসব হয়ে গেল।’ প্রিয়াঙ্কাকে যখন প্রশ্ন করা হয় তিনি মনে করেন কিনা কেউ রিয়াকে ইচ্ছে করে সুশান্তের জীবনে পাঠিয়েছিল?
প্রতিউত্তরে তিনি হ্যাঁ বোধক উত্তর দেন। আপাতত সিবিআই, ইডি আর এনসিবি তদন্ত করছে সুশান্তের মৃত্যু মামলার। দিন কয়েক আগেই এনসিবির চার্জশিট সামনে এসেছে, যেখানে লেখা আছে মাদক কিনতেন রিয়া, মাদক পাচারকারীদের টাকাও দিতেন এবং তা পৌঁছে দিতেন সুশান্তের কাছে। মাদক কেনা-বেচায় জড়িত ছিলেন রিয়ার ভাই সৌভিকও।