তেহরানের কাছে মস্কোর অর্ডার দেয়া কয়েক শত সামরিক ড্রোনের প্রথম চালান রাশিয়ায় পাঠিয়েছে ইরান।
প্রথম চালানে দুই ধরনের সামরিক ড্রোন পাঠানো হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরান সরকারের এক উপদেষ্টা এবং মার্কিন প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরানের তৈরি ড্রোনগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা, ইলেক্ট্রনিক হামলা চালাতে এবং লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে এসব ড্রোন ব্যবহার হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
অবশ্য ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করে আসছিল, এই যুদ্ধে কোনও পক্ষকেই তারা সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করবে না। ইউক্রেন অভিযান শুরুর আগেই ড্রোন সরবরাহ করতে মস্কোর সঙ্গে এক সামরিক চুক্তির বলেই এই ড্রোন সরবরাহ, জানায় রাশিয়া।
আগস্ট মাসে বেশ কয়েক দিন ধরে ইরানের একটি বিমান ঘাঁটি থেকে ড্রোনগুলো বহনকারী রাশিয়ার পরিবহন বিমান মস্কোর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে ইরানের সরবরাহ করা প্রথম চালানের এসব ড্রোনে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল বলে জানায় মার্কিন কর্মকর্তারা।
ইরান সরকারের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ইরানের সরবরাহ করা এসব ড্রোনগুলো মোহাজের-৬ ও শহীদ সিরিজের। এ ড্রোনগুলো পরিচালনার প্রশিক্ষণ ইরানে গ্রহণ করছে রুশ অপারেটররা।
উল্লেখ্য, মোহাজের-৬ সিরিজের ড্রোনগুলোর নজরদারির সক্ষমতা রয়েছে। আর শহীদ সিরিজকে ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সামরিক ড্রোন বিবেচনা করা হয়। ড্রোন প্রযুক্তিতে অগ্রদূতদের মধ্যে অন্যতম ইরান। অন্তত চার দশক ধরে দেশটির ড্রোন নকশা এবং উৎপাদনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইয়েমেন, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন ও গাজায় বিভিন্ন গ্রুপের কাছে সামরিক ড্রোন সরবরাহ করেছে তেহরান।