এসএসসি’র প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও তিন

Date:

Share post:

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষক এবং এক অফিস সহায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হলেও বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নেহাল উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন, পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম ও অফিস সহায়ক সুজন মিয়া।

এর আগে বুধবার একই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয় জনে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন করে গ্রেপ্তার তিনজনকে কুড়িগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলামের সই করা পত্রের বরাতে জানান, স্থগিত চারটি পরীক্ষা নতুন সময়সূচী মোতাবেক আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে গণিত (আবশ্যিক) পরীক্ষা ১০ অক্টোবর, কৃষিশিক্ষা (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা ১১ অক্টোবর, পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা ১২ অক্টোবর এবং রসায়ন (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা ১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও জানান, প্রশ্নফাঁসের এ ঘটনায় শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালকের পক্ষে তিনি বৃহস্পতিবার নেহাল উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকদের জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে।

এ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত শিক্ষা বিভাগের কারো কোন দায়িত্বে অবহেলা অনিয়ম কিংবা দুর্নীতির সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে শিক্ষা বিভাগ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে।

জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম আরো জানান, দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম পৌঁছেছেন। এ কমিটির আহ্বায়ক দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মো. ফারাজ উদ্দিন তালুকদার।

তদন্ত টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উমা) প্রফেসর মো. হারুন অর রশিদ মণ্ডল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. আকতারুজ্জামান। তারা তাদের তদন্ত কার্যক্রমও শুরু করেছেন।