বিজেপির নবান্ন অভিযানে হট্টগোল, পুলিশে সঙ্গে সংঘর্ষ

Date:

Share post:

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচিতে মঙ্গলবার বিজেপির নেতা-কর্মীদের সাথে কলকাতা ও হাওড়ায় পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময়, রাজ্য বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ চার নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

পশ্চিমবঙ্গে শাসকদলের ‘দুর্নীতির প্রতিবাদে’ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। মিছিল শুরু হয় কলকাতা থেকেই। তবে, নবান্নের হাওড়ামুখী বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

এতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা এবং হাওড়া কার্যত পুলিশ-বিজেপির খণ্ডযুদ্ধের রূপ নেয়। বহু এলাকা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, হাওড়া ব্রিজ, লালবাজার ও কলেজ স্ট্রিটসহ পথে পথে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ান বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিজেপির কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা ইট, পাথর ছোড়োর অভিযোহ উঠেছে। বিজেপির মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা হিসাবে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশও।

অন্যদিকে, রবীন্দ্র সরণি এবং এমজি রোডের সংযোগস্থলে পুলিশের জিপে আগুন লাগানো হয়। যা ঘিরে আর এক প্রস্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার এক পাশে রাখা একটি পুলিশের গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। একটু দূরে পাথর ছুড়ছেন যুবক।

এর আহগে, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে বিজেপির মিছিল পৌঁছতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা এবং দলীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের পিটিএসের সামনে আটকে দেওয়া হয়।

কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। মহিলা পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এর পর লকেট এবং শুভেন্দুকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এই হট্টগোলের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছে শাসক তৃণমূল দল।