ব্রাজিলের কট্টর-ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর একজন সমর্থক বামপন্থী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সমর্থককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। চলতি বছরের নির্বাচনের আগে এই নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দেশটিতে।
শুক্রবার ব্রাজিলের পশ্চিম-মধ্য রাজ্য মাতো গ্রোসোতে এই সহিংসতা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
এ হামলার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যপশ্চিমের রাজ্য মাতো গ্রোসোতে লুলা ও বোলসোনারো সমর্থকদের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতের এ ঘটনা ঘটে। ২৪ বছর বয়সী রাফায়েল সিলভা দে অলিভেইরা ৪২ বছর বয়সী বেনেদিতো কারদোসো সান্তোসকে ছুরিকাঘাত করেন।
এদিকে হামলার পরপরই সন্দেহভাজন রাফায়েলকে আটক করে পুলিশ। পরে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। পড়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
শুক্রবার রিও ডি জেনেরিওতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বামপন্থী নেতা লুলা ছুরিকাঘাতের বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ঘৃণার পরিবেশ ছিল যা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক।
লুলা আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, এসব হামলার তদন্ত করা উচিত। হামলার বিষয়ে কেউ নির্দেশ দিয়েছিল কিনা বা এটি একটি রাজনৈতিক কৌশল কিনা, তা স্পষ্ট করা জরুরি।
একটি বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আমেরিকা বিভাগের পরিচালক জুয়ানিটা গোয়েবার্টাস এস্ট্রাডা বলেছেন, কারদোসো হত্যাকাণ্ডের জন্য “সকল প্রার্থীর উদ্যমীভাবে নিন্দা করা উচিত” এবং “ব্রাজিলিয়ানরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের রাজনৈতিক আলোচনা হওয়া উচিত।
এর আগে জুলাই মাসে একই ধরণের হামলা হয়েছিল। বিরোধী ওয়ার্কার্স পার্টির একজন স্থানীয় কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছিল বলসোনারোর আরেক সমর্থক।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের ফলে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো।
ব্রাজিলের সবশেষ জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে বোলসোনারো থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছেন লুলা।