নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়ার চারদিন পর মাটি খুঁড়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ও দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ৯নং মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের লালপুর এলাকার আব্দুল করিম হাজী বাড়ির পুকুর পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শাকিল (২৫) ওই বাড়ির বাবুল হোসেনের বড় ছেলে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন- নিহতের ছোট ভাই এমরান হোসেন, এমাম হোসেন ও বাবা বাবুল হোসেন ।
এর আগে, শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা শাকিলকে হত্যা করে মরদেহ বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে শাকিলকে তার পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেন। এরপর বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে রাখেন।
বুধবার বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় বাবা ও ভাইদের কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়। সেখানে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ তাদের বসতঘরের পিছন থেকে মাটিতে পুতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাকিল পরিবারের সদস্যের ওপর প্রায় নানা কারণে অত্যাচার করতেন। এসব ঘটনার জের ধরে পরিবারে কলহ দেখা দেয়। একপর্যায়ে ওই কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
এদিকে, নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় পিবিআই সদস্যসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ও থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।