প্রথম ম্যাচের শনির দশা আজও যেন ভর করেছিল শ্রীলঙ্কার ওপর। আরব আমিরাতের কার্তিক মেয়াপ্পনের হ্যাটট্রিকে লঙ্কান শিবিরে আবারও ভেসে উঠেছিল সেই দুঃসহ স্মৃতি। তবে তা উতরে ১৫২ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় দাসুন শানাকার দল। এতে তাদের খরচ হয় আট উইকেট।
পরে লঙ্কান বোলিং অ্যাটাক একের পর এক আমিরাতে ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে তুলে নিয়েছে বিশ্বকাপের চলতি আসরের প্রথম জয়। একই সঙ্গে এই বড়ো জয়ে জিইয়ে রাখলো সুপার টুয়েলভের আশাও।
তবে সেই আশা জিইয়ে রাখতে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় তো বটেই, রানের খাতার গতিও চিন্তার কারণ হবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৫২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। এতে সবচেয়ে বড়ো অবদান রাখেন ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। ৬০ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে দুই ছয় ও চার বাউন্ডারিতে এই রান করেন তিনি।
নিসাঙ্কাকে কুশল (১৮) ও ধনঞ্জয়া (৩৩) কিছু সঙ্গ দিলেও আমিরাতের করাতে একে একে কাটা পড়ছিলেন রাজাপাকসে, সানাকারা।
ধনঞ্জয়ার পর মিডল অর্ডার থেকে টেল এন্ডার কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। আর এ কাজটি করেছিলেন কার্তিক মেয়াপ্পনে। পর পর তিন বলে রাজাপাকসে, আস্নালাঙ্কা ও সানাকে বিদায় করে দারুণ এক কীর্তি গড়ে তিনি।
তবে ২০ ওভার শেষে গিয়ে শ্রীলঙ্কার খাতায় যোগ হয় ১৫২ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চামিরা, মধুসানাদের আক্রমণে শুরুতে তছনছ হয়ে যায় আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। ৩০ রানে পাঁচ টপ ওর্ডারকে হারানো আমিরাতের আর বেশি দূর এগো হয়নি। তাদের ইনিসং শেষ হয়ে যায় মাত্র ৭৩ রানে।
শ্রীলঙ্কার চামিরা, হাসারাঙ্গা তিনটি করে উইকেট নিলেও মহেশ থিকসানা দুটি এবং মধুসানা ও সানাকা একটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সের হন শ্রীলঙ্কান ওপেনার নিসাঙ্কা।