বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজে নিয়োজিত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছক কষেই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন বলে প্রাথমিক তথ্যে নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। কীভাবে প্রশ্নফাঁস করবে, কীভাবে তা বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি হবে, কোন চ্যানেলে টাকা সংগ্রহ করবে এবং কীভাবে তা বণ্টন করবে; ছক কষে এসব বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অসাধু এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র মেকানিক জিএসই (ক্যাজুয়াল) এবং জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) পদের নিয়োগের জন্য পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়।
বড় এই নিয়োগের জন্য ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আগেরদিন ২০ অক্টোবর রাতে বা তার আগেই নিয়োগ সংক্রান্ত এ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে; এমন আশঙ্কায় অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে মাঠে নামে গোয়েন্দারা। এক পর্যায়ে ২০ তারিখ রাতেই ১০০টি প্রশ্ন সম্বলিত প্রশ্নপত্র পেয়ে যায় গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার একাধিক টিম শুক্রবার (২১ অক্টোবর) উত্তরার বিমানবন্দর কাউলা এলাকায় ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঁচ জন জুনিয়র কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলো, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমটি অপারেটর মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), এমটি অপারেটর মোহাম্মদ মাহফুজ আলম ভূঁইয়া (৩১), এমটি অপারেটর মো. এনামুল হক (২৭), অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন (২৯) এবং অফিস সহায়ক হারুনুর রশিদ (৪০)।