কবীর সুমন ঢাকায় আসছেন। শেষবার ঢাকায় এসেছিলেন ২০০৯ সালে। এরপর জমেছিল অভিমান। সেই অভিমানের বরফ গলল এক যুগ পর।
কবীর সুমনের এবারের ঢাকায় আগমন দেশীয় শ্রোতাদের মধ্যে তৈরি করেছে উন্মাদনা।
জানা গেছে, আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী ‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদযাপন’ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করবেন তিনি। এর মধ্যে ১৫ অক্টোবর গাইবেন আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর গাইবেন আধুনিক বাংলা খেয়াল এবং ২১ অক্টোবর আবার আধুনিক গান।
কবীর সুমনের গান শোনার জন্য শ্রোতারা উন্মুখ হয়ে রয়েছেন। অনেকেই পাল্লা দিয়ে টিকিট কিনছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে আবেগ প্রকাশ করছেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ইশতিয়াক খান। ইশতিয়াক বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে টিকিট ছাড়ার মাত্র ৭২ ঘণ্টার ভেতরে ১৫ ও ২১ তারিখের সব ক্যাটাগরির টিকিট শেষ হয়ে গেছে। এ জন্য কোনো আউটলেটে আর এ দুই দিনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। ’
অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত না হলেও অনলাইনে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে। সে ক্ষেত্রেও আলাদা টিকিট সংগ্রহ করতে হবে দর্শকদের। অবশ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
১৯৯২ সালে প্রকাশ হয় কবীর সুমনের প্রথম আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’। বাংলা গানের গতিপথ বদলে দেওয়া এ অ্যালবাম প্রকাশের ৩০ বছর পূর্ণ হলো এ বছর। এই উপলক্ষ উদ্যাপন করতেই কবীর সুমনের কিছু ভক্ত তাকে ঢাকায় আমন্ত্রণ করেছেন।
বাংলাদেশি শ্রোতাদের গান শোনাতে দীর্ঘ ১৩ বছর পর তাই ঢাকায় পা পড়ছে সুমনের। সর্বশেষ এসেছিলেন ২০০৯ সালে। এর আগে ১৯৯৬ ও ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে দুটি সংগীত সফর করেন সুমন। এরপর ২০০৮ সালের ২৩ মে জাতীয় জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠানে গেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু কোন অভিমানে এত বছর বাংলাদেশে আসেননি কবীর সুমন? শোনা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবরে তিনি যখন এসেছিলেন, সে সময় গানের প্রগ্রাম ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। কিন্তু সেখানে গান গাইতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠান না করেই ফিরে যান কলকাতায়। সেই অভিমান চেপে রেখেই এক যুগের বেশি সময় কবীর সুমন ঢাকায় আসেন না বলে গুঞ্জন।