ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে থামছে না দুর্ঘটনা আর মৃত্যু

Date:

Share post:

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কিছুতেই থামছে না দুর্ঘটনা আর মর্মান্তিক মৃত্যু। তবে চলতি বছর সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ১৬ জুলাইয়ের দুর্ঘটনাটি। ওইদিন ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় এক দম্পতি ও তাদের ছয় বছরের মেয়ে নিহত হয়। মৃত্যুর আগমুহূর্তে অন্তঃসত্ত্বা মা সড়কে মেয়েসন্তান জন্ম দেন। শিশুটি অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। ফাতেমা নামে শিশুটি এখন সমাজসেবা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে আজিমপুরের ছোট মনি শিশু নিবাসে আছে।

জেলা ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের এই ১০ মাসে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১৪৮টি সড়ক দুর্ঘটনার বিপরীতে চব্বিশ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৩০ জন। জানুয়ারি মাসে ২২টি দুর্ঘটনার বিপরীতে মারা গেছেন দুইজন, আহত হয়েছেন ৩৭ জন; ফেব্রুয়ারিতে ১৩টি দুর্ঘটনার বিপরীতে মারা গেছেন, সাতজন আহত হয়েছেন ৩০ জন; মার্চে ১৪টি দুর্ঘটনার বিপরীতে কেউ মারা যায়নি, আহত হয়েছেন ১৮ জন; এপ্রিলে ২১টি দুর্ঘটনার বিপরীতে তিনজন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন; মে মাসে ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনার বিপরীতে মারা গেছে দুইজন, আহত হয়েছে ৩৭ জন; জুন মাসে ১৬টি দুর্ঘটনার বিপরীতে মারা গেছেন দুইজন, আহত হয়েছেন ১৫ জন; জুলাই মাসে ২৩টি দুর্ঘটনার বিপরীতে মারা গেছেন চার জন, আহত হয়েছেন ২৫ জন; আগস্ট মাসে ৮টি দুর্ঘটনার বিপরীতে কেউ মারা যায়নি, আহত হয়েছেন ৮ জন; সেপ্টেম্বরে ১১টি দুর্ঘটনার বিপরীতে একজন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন ১৫ জন এবং অক্টোবরের ১৮ তারিখ পর্যন্ত চারটি দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন আটজন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নেয়াজ আহমেদ জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করে থাকে। অন্যান্য কারণ ছাড়াও চালকদের নিয়ন্ত্রণহীন গতির কারণেই দুর্ঘটনা বাড়ছে জানান তিনি।

যানবাহনের চালকরা জানান, মহাসড়কে সরকার নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার অবাধে চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। পাশের রাস্তা থেকে মহাসড়কে হুট করে থ্রি-হুইলার ঢুকে পড়ায় দ্রুতগামী যানচালকরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় চালক-শ্রমিকরা আহত হচ্ছে এবং অনেকে মারা যাচ্ছে।