প্রায় চার মাস আগের ঘটনা। বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমান খান ও তার ভাই সেলিম খান উড়ো চিঠি পেয়েছিলেন। সেখানে তাকে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়েছিলো।
সেই ঘটনার তদন্তের অংশ হিসাবে বলিউডের সুপারস্টার সালমান খানকে হত্যার দায়িত্ব পাওয়া এক কিশোরসহ দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লির পুলিশ।
গেলো ৭ মে মোহালিতে পাঞ্জাব পুলিশের সদর দপ্তরের হামলার ঘটনা তদন্ত করছিলো বিশেষ একটি দল। সেই তদন্তের জের ধরেই কিশোরসহ দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুক্রবার দিল্লির পুলিশ জানিয়েছে, সালমান খানকে নির্মূল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো কিশোরটির ওপর। গ্রেপ্তার অপর ব্যক্তির নাম আর্শদীপ সিং বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ জানান, গেলো চার আগস্ট হরিয়ানায় একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আর্শদীপ সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের মতে, লরেন্স বিষ্ণোই এবং জগ্গু ভগবানপুরিয়া সিন্ডিকেট পলাতক দীপক সুরকপুর এবং মনু ডাগরকে অভিনেতা সালমান খানকে ‘নির্মূল’ করার দায়িত্ব দিয়েছিল।
গত ৯ মে মোহালিতে পাঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দপ্তরের একটি রকেট চালিত গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছিলো। পুলিশের দাবি, এই হামলায় পাকিস্তান আইএস জড়িত ছিলো।
আইএস মদদপুষ্ট গ্যাংস্টার হারবিন্দর সিং ওরফে রিনডা এই মামলার মূল হোতা ছিলেন বলেও প্রমাণ পাওয়ার কথা দাবি করে দিল্লি পুলিশ।
উল্লেখ্য গেলো জুনে জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালাকে গুলি করে হত্যার পরপরই খবর আসে বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি দেয়ার।
সালমান খান ও তার বাবা সেলিম খানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। গ্রেফতার মহাকাল পুলিশকে অনেক তথ্যও জানিয়েছে এই ব্যাপারে।
মুসে ওয়ালাকে হত্যার পেছনে যে ব্যক্তিকে সন্দেহ করা হচ্ছে, একই ব্যক্তি আছেন সালমানকে হত্যার হুমকির পেছনেও। তিনি আর কেউ নন, অভিনেতার ‘পুরোনো শত্রু’ লরেন্স বিষ্ণোই।
এর আগেও কয়েকবার ‘ভাইজান’কে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। পুলিশের তদন্তেও উঠে এসেছে, ভাইজানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পেছনে আসল ব্যক্তিটি হলেন লরেন্সই।
জেলবন্দি লরেন্স নিজেই পুরো পরিকল্পনাটি করেন। তার দলের সদস্য বিক্রমজিত সিং বরাড়কে দেন হুমকি দেওয়ার দায়িত্ব।
বিক্রমের নির্দেশেই হুমকি দেওয়া হয় সালমানকে। বিক্রম এখন কানাডাতে। তার বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি মামলা আছে।