ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ চলাকালীন ওয়াজিরাবাদে এক সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ওয়াজিরাবাদের গুজরানওয়ালায় দলীয় সমর্থকদের সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান খান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
জানা গেছে, ইমরানের ডান পায়ে গুলি লেগেছে। হামলায় আরও আহত হয়েছেন পিটিআই নেতা ফয়সাল জাভেদ ও আহমেদ চাত্তাসহ কমপক্ষে ছয়জন।
পাকিস্তানের সংবাদসংস্থা দ্য ডন জানিয়েছে, আহত ইমরান খানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে শঙ্কামুক্ত তিনি। আর সন্দেহভাজন হামলাকারীকে সাথেসাথেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পিটিআই নেতা ইমরান ইসমাইল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হামলাকারী একটি একে-৪৭ বন্দুক নিয়ে সরাসরি ইমরানকে বহনকারী কন্টেইনারের সামনে চলে যান। এরপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করলে ইমরানের পায়ে তিন থেকে চারটি গুলি লাগে।
গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) লাহোর থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করেন ইমরান খান। নিজের আন্দোলনকে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। তাৎক্ষণিক হামলার তদন্ত শুরু করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে পাকিস্তানের ১০তম নির্বাচনে ইমরান খানের দল দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আসন জেতে। আর ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পাকিস্তানের ১১ তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ইমরানের দল আসন সংখ্যার বিচারে সর্ববৃহৎ দলে পরিণত হয়।
তিনি ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল জাতীয় পরিষদে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধিরা। যেখানে ১৭৪ ভোটে পরাজিত হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হন।
এর আগেও পাকিস্তানে একাধিক নেতানেত্রী জনসভায় হামলার শিকার হয়েছেন। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান জনসভায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র নেত্রী বেনজির ভুট্টো রাওয়ালপিন্ডির জনসভায় জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান।