সংগঠনের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মহাসমাবেশের নির্ধারিত সময় ছিলো দুপুরে। কিন্তু সকাল আটটা থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুখে ঢল নামে যুবলীগ কর্মীদের।
মিলনমেলায় পরিণত হয় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে থাকা সবকটি এলাকা। বিপুল উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নানা বাহনে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে মূলত বিএনপির রাজপথ দখলের হুমকির জবাব দিতে চান যুবলীগ কর্মীরা। বলেছেন, বিএনপির আতঙ্কের জবাব দিতে প্রস্তুত যুবলীগ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশস্থলে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট করা হয়। সবগুলো গেটের সামনেই সকাল থেকেই যুবলীগ কর্মীদের ভিড়।
একের পর এক মিছিল আসছে উদ্যানের দিকে। কেউ স্লোগান ধরেছেন, কেউবা ভুভুজেলা বাজাচ্ছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে পথে উচ্ছ্বাসের রেশ এমনই।
মহাসমাবেশে নীল, সবুজ, হলুদ নানা রঙের পোশাকে এসেছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তারা জানান, প্রতি জেলা-উপজেলা কমিটির জন্য আলাদা আলাদা রঙের টি-শার্ট ও টুপি রয়েছে।
৫০ এ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। সুবর্ণজয়ন্তীর যুব মহাসমাবেশ। যাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
সমাবেশের মূল আয়োজন ছিলো দুপুরের পর। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর নেতাকর্মীদের পদচারনায় মুখর ছিলো প্রেসক্লাব হাইকোর্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট শাহবাগ টিএসসি দোয়েল চত্বর আর চানখারপুল এলাকা।
বাস, পিকআপ ভ্যানসহ নানা বাহনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে তারা আসেন। জনস্রোতের লক্ষ ছিলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
দুপুর ২টা ৩৬ মিনিটে যুব মহাসমাবেশে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উপস্থিতিতে আনন্দে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশস্থল।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপিকে রাজপথ দখলের সুযোগ তারা দেবেন না। বিরোধীদের যে কোন আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবেলায় রাজপথে থাকবে যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
তারা বলেন, বিএনপি দুই-একটা সমাবেশ করে যে আতঙ্ক ছড়াতে চায় তার জবাব দিতে যুবলীগ প্রস্তুত। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই যুব সমাজ ঐক্যবদ্ধ।
যুবলীগের লাখো নেতাকর্মীর ভিড়ে সকাল থেকেই উদ্যানের আশপাশের সড়কগুলোতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। যার প্রভাব পড়ে পুরো রাজধানীতে।