নানা নাটকীয়তা শেষে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড

Date:

Share post:

হিমালয় কন্যা নেপালের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। দিনভর নানা ধরনের নাটকীয় ঘটনার পর অবশেষে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন মাওবাদী নেতা পুষ্পকুমার দহল। যিনি বেশি পরিচিত প্রচণ্ড নামে। সব কিছু ঠিক থাকলে তিনি হবেন নেপালের নতুন সরকার প্রধান।

স্পিকারের পদ দিতে চাওয়া হয়েছিলো মাওবাদী নেতা নেতা প্রচণ্ডকে। তাতে তিনি রাজি হননি। এর জেরে রোববার সকালে নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দলের জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। যার কারণে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে নবগঠিত সরকার।

এরপরই নাটকীয় মোড়। দুপুরের মধ্যেই প্রচণ্ডকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন জানাতে রাজি হয়ে যায় বিরোধী সিপিএন-ইউএমএলসহ ছোট দলগুলো। ফলে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর আসনে মাওবাদী নেতা প্রচণ্ডর বসার এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দলের সঙ্গে চুক্তি করেছেন প্রচণ্ড। দুই দল থেকেই ভাগাভাগি করে হবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রচণ্ডের দাবি মেনে তাকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সায় দিয়েছেন ওলি। তাই প্রচণ্ডই হচ্ছেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী। পরের দফায় প্রধানমন্ত্রী হবেন ওলি।

রোববার ওলির বাসকোটের বাসভবনে বৈঠকে বসে প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন সিপিএন-এমসি, ওলির নেতৃত্বাধীন সিপিএন-ইউএমএল, রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি) এবং অন্য ছোট ছোট দল। ছিলেন সব দলের শীর্ষ নেতারা।

নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে জোট সরকার গড়ার বিষয়ে একমত হয় দলগুলো। সিপিএন-এমসি নেতা দেব গুরুঙ্গ জানান, নেপালের সংবিধানের ৭৬ (২) ধারা মেনে ১৬৫ জন আইনপ্রণেতা চুক্তিতে সই করেছেন। প্রেসিডেন্টের কাছে সেই চুক্তি পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, নেপালের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নেপালি কংগ্রেস। তাদের আসন ৮৯টি। সরকার গঠনে ১৩৮ জনের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে নতুন জোট সরকারের ১৬৫টি সমর্থন।প্রধানমন্ত্রী হবার পর ৩০ দিনের মধ্যে আস্থাভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে প্রচণ্ডকে।