নীলফামারীতে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

Date:

Share post:

নীলফামারীর ডোমারে স্ত্রী রেনু আক্তারের (২৮) জবাই করে হত্যার পর পালিয়ে গেছেন স্বামী গোলাম মোস্তফা বুলু (৩৫)। এমনটাই দাবী করছেন রেনুর পরিবার

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের কারেঙ্গাতলি গ্রাম থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার ময়না তদন্তেন জন্য মর্গে পাঠিয়েছে ডোমার থানা পুলিশ। পলাতক গোলাম মোস্তফা বুলুকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে বলে জানান ডোমার থানার পরিদর্শক মো. মাহমুদ উন নবী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ১২ বছর আগে গোলাম মোস্তফা বুলু বিয়ে হয় ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জ কারেঙ্গাতলি গ্রামের খায়রুল ইসলামের মেয়ে রেনু আক্তারের সঙ্গে।

বিয়ের পর থেকে স্ত্রী রেনু আক্তারকে নিয়ে সৈয়দপুরের নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন গোলাম মোস্তফা। রেনু-বুলু দম্পতির তিন সন্তান রয়েছেন। এরা হলেন ১৩ বছর বয়সী মেয়ে মাইশা আক্তার এবং ছয় বছর বসয়ী রাহাত ও চার বছর বয়সী রিয়াদ। গোলাম মোস্তফা বুলু মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায় তাদের সংসারে অশান্তি বিরাজ করায় প্রায় দেড়মাস আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি কারেঙ্গাতলি গ্রামে বাবার দেয়া জমিসহ ঘরে দুই ছেলে নিয়ে বসবাস শুরু করেন রেনু আক্তার।

বাবার বাড়ি থেকে মাত্র ৪০০ গজ দূরে ছিল রেনুর ঘর। রেনুর তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে সৈয়দপুরে দাদার বাড়িতে থাকলেও তার সঙ্গে ছিলেন দুই ছেলে রাহাত ও রিয়াদ।

এরই মধ্যে কিছু দিনে নিজ বাড়ি ছেড়ে কারেঙ্গাতলী গ্রামে স্ত্রী-সন্তানের কাছে এসে অবস্থান নেয় গোলাম মোস্তফা বুলু। ঘটনার রাতে ওই ঘরে বাবা-মায়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিল শিশু রাহাত ও রিয়াদ।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় মা রেনু রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখলেও বাবা গোলাম মোস্তফাকে দেখতে না পেয়ে নানার বাড়িতে গিয়ে খকর দেয় শিশু রাহাত ও রিয়াদ। এরপর রিহাদের নানা খায়রুল ইসলাম এবং খালা খাদিজা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রেনুর ঘরে এসে দেখেন গলা জবাই করা অবস্থায় রেনুর মরদেহ পড়ে রয়েছে। পরে তারা ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশে খবর দিলে দুপুরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

নিহত রেনু আক্তারের বাবা খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘জামাই গোলাম মোস্তফা আমার মেয়ে রেনু আক্তারকে গলাকেটে হত্যা করেছেন। কিন্তু কেন এভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে সেটি এই মুহুর্তে বলতে পারছি না। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে কথা বললে ডোমার থানার পরির্দশক মো. মাহমুদ উন নবী বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী গোলাম মোস্তফা পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় স্ত্রীকে হত্যা করে সে পালিয়েছে। এ ঘটনায় নিহদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’