মে মাসেও রেমিট্যান্স কমল

Date:

Share post:

এপ্রিলের পর মে মাসেও কমল রেমিট্যান্স। গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা মোট ১৬৯ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা ১৯ কোটি ডলার বা ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কম। আমদানি নিয়ন্ত্রণের নানা পদক্ষেপের ফলে এখন হুন্ডি চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ কম আসতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। তার আগের অর্থবছরের একই মাসে যা ছিল ২০১ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৯৪১ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা মাত্র ১ দশিমক ১৩ শতাংশ বেশি। শুরুর দিকে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ছিল অনেক বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এলসিতে ডলার সংস্থানে কড়াকড়ি, এলসি মার্জিন বাড়ানো, করহার বাড়ানো হয়েছে। এতে করে এখন অনেকে আমদানিতে দর কম দেখিয়ে বাকি অর্থ হুন্ডি চ্যানেলে পরিশোধ করছে। যে কারণে রেমিট্যান্স কমছে।

দীর্ঘ দিন কৃত্রিমভাবে ডলারের দর ধরে রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চরম সঙ্কট শুরুর পর হুহু করে বেড়ে ১১৪ টাকায় দর উঠে যায়। বাজারে অসম প্রতিযোগিতা রোধে গতবছরের সেপ্টম্বর থেকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ডলার কেনার সর্বোচ্চ একটি দর নির্ধারণ করে আসছে ব্যাংকগুলো। সর্বশেষ দর বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার থেকে রপ্তানিতে প্রতি ডলার ১০৭ টাকা এবং প্রবাসী আয়ে ১০৮টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হচ্ছে। আর এ দুয়ের গড় দরের ভিত্তিতে আমদানির দর নির্ধারিত হয়।

বাজার সামলাতে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এতে করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে বৃহস্পতিবার ২৯ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে।